A Gulshan resident, who goes by the name Sanzida Mishu, has been in anticipation ever since she heard about ‘Paara Utshab’. Finally on 2 December, she visited the event with her sister and her mother. Organised by the Gulshan Society, Heroes for All, Dhaka North City Corporation (DNCC) and powered by Prime Bank, Paara Utshab was held at road 56, 60 and 62, Gulshan 2, beside Gulshan Park. Simple pedestrian streets took the form of a festival from 9 AM to 8 PM. Music, food, crafts, souvenirs, arts; the event had it all. A parrot picking tarot cards, popping balloons with an airgun and painting what you like on a long white drape were among the fun activities to be enjoyed by the visitors at Paara Utshab.

“It is very difficult to get to know each other in Gulshan,” said Sanzida. “On top of that, getting together in this manner is not quite possible. At Paara Utshab not only am I getting to meet and greet my neighbours, and my neighbour’s neighbour, I am also getting to meet many of neighbours’ pets!”

As is in the name, attendants were in a festive mood. Visitors got to know each other, shook hands, hugged, and shared stories of their lives, and how the kids are doing. They got acquainted with the people they have been living with in the Gulshan ‘paara’ in the most animated manner.

“Paara Utshab was a resounding success. It brought together people of all ages, young and old, and their pet companions too! By blocking off streets for pedestrians only, we were able to transform neighbourhoods, for the better,” said Shayaan Seraj, convenor of Paara Utshab on behalf of Gulshan Society.

Many visitors came with their pearl or golden labrador retriever, lhasa and pomeranian pet dog companions. The lovely pets had to dodge through the crowd and they too enjoyed just as much as their ‘hoomans’ did. One couple were telling each other, “Wish we’d brought our Jimmy (pet dog), he’d have loved it!”

Pampered Paws, a popular pet grooming shop, owned and run by Ahona Rahman, saw a lot of support that day. “We are almost out of pet products,” Ahona said at only around 6 PM. Beautiful stalls dotted the event. It was at a boutique stall where Sanzida was enjoying her younger sister dipping her hands in a vat of dye to design a dress herself. The whole day she had been enjoying the other fun stuff in the event. In the centre, a stage was set up where there were music recitals and performance art. Well known drama troupe Prachyanat also performed on stage.

‘It’s Humanity Foundation’ showcased and sold sunglasses, mugs and all sorts of glassware adorned in rickshaw paint. ‘Fleur de Lis’, a flower shop, was the best smelling corner of the event, with all the kinds of flowers it sold. At ‘Aka Aki’, photorealistic watercolour paintings were sold. The artist was doing live sketches of visitors as well.

‘Ambis’ was a gift shop, ‘Dadur Bari’ was an ‘achaar’ shop – selling homemade pickles and condiments, ‘Chaap Chai’ sold beef food items, ‘Aranya’ set up a stall too where they sold their signature items made from organic materials, ‘Shahi Mishti Paan’ was there too, allowing visitors to colour their mouths a little in the colours of the pre-winter fest. ‘Banglar Mishti’ had their own stall there, selling sweetmeat and it was a fairly crowded corner throughout the day. Stalls promoting mental health from ‘Mone Niye’, ‘Psychological Health and Wellness Clinic’ were also there. Besides those, ‘Charity Shop’ sold used and new items, the proceeds of which would go to charity for underprivileged children. Near the entrance/exit, Sabuj Miah, a busker playing and selling flutes, was playing ‘Milon Hobe Koto Din E’ on the flute. As they left the bustling fest, visitors were waved goodbye with the sweet sound flowing from Sabuj Miah’s melodious playing.

The founder of the Salma Adil Foundation and a former Safe Hands representative at the US Embassy, Ln. Salma Adil, MJF, expressed her happiness with the locals’ widespread participation in the “Paara Utshob.” She stated: “It is great to witness neighbors participating in long-standing cultural traditions together. This will encourage more social engagement in the neighborhood.”

As a continuation of the regular annual cultural event, ‘Heroes for All’ in cooperation with the Gulshan Society and the Dhaka North City Corporation arranged a day-long program ‘Paara Utshob’ in the Gulshan area in Dhaka recently, said a press release on Sunday.

Non-profit organization ‘Heroes for All’ founder Rehnuma Karim actively led the whole event. Tireless efforts by Heroes for All Inc volunteers and people behind the scenes Sazzad Sohel, Tanvir Ahmed from Gulshan Society along with Shayaan Seraj, Anis Zaman from DNCC team worked together to make this event a successful one.

Renowned Bangladeshi actress Azmeri Haque Badhon as well as Salma Adil from Salma Adil Foundation were active parts of the whole arrangement. Sarfaraz Anwar Upol gave his all-round support and encouragement, and ‘Moner Manush’ gave a tribute on the occasion with the famous National award-winning song – ‘Achen Amaar Moktar’. 

DNCC mayor Atiqul Islam was graciously present on the occasion as the honorable chief guest. He said, ‘We want a city where there will be no discrimination. My goal is to build a truly inclusive city where people of all walks of life will be involved.  ‘Para Utshob’ will play an important role in strengthening relations between neighbors and strengthening social bonds. Our children are not getting a chance to play, they have no friends. And that’s why an initiative like this is much needed. It will also reduce social injustice and unrest. This is how we want to build Dhaka for all.’

In the event, there were activities, fun food, games, magic, paintings, music, stand-up comedy, lathi khela, demonstrations of self-defense, street drama etc. and a talent show for everyone in the community. This very successful and unique event was arranged with a belief in having the vision of making the disconnected society connected for some brief but precious moments.

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের সব এলাকাতে পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে। এ আয়োজন প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করবে। আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এ সব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোন যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকাতেই পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকায়ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এই আয়োজনটি গ্রামের উৎসব ঢাকা শহরে ফিরে নিয়ে এসেছে৷ এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই আছে শুধু হৃদ্যতা। প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দপূর্ণভাবে বসবাস করতে এ ধরনের উৎসব আয়োজন ভূমিকা রাখবে।’

ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্য সেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরো ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রংতুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকায়ই পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং-তুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ডিএনসিসি মেয়র এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন এবং গান গেয়ে নগরবাসীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ-সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ব্রিগে) জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ব্রিগে) জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

রাজধানীর সব এলাকায় ‘পাড়া উৎসব’ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘শহরের প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন বাস করেও কেউ কাউকে চেনেন না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই আয়োজনটি গ্রামের উৎসবের আমেজ ঢাকা শহরে ফিরিয়ে এনেছে। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আছে শুধু হৃদ্যতা।’ ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হিরোস ফর অল’। এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠা ও পাটের তৈরি পণ্যের দোকান, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, ম‌্যাজিক শো, স্বাস্থ‌্যসেবা। এ ছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা ঠিকই জাতীয় সংগীত গাই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। অথচ ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেই, লালবাতি জ্বলার পরেও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেই।’ আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসব উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকাতেই পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে।

মেয়র বলেন, আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল কিন্তু আজ সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে এসে এ উৎসবে যোগ দিয়েছে। তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে তুমি কই থাকো। এই মিলনমেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই একটা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা ঠিকই জাতীয় সংগীত গাই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। অথচ ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেই, লালবাতি জ্বলার পরেও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেই। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এ পাড়া উৎসব।

নগরবাসীকে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আসুন সবাই শহরকে ভালোবাসি। শহরের পরিবেশ রক্ষায় হর্ন বাজানো বন্ধ করি। গুলশান থেকেই হর্ন বাজানোর চর্চা শুরু হোক। ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এ ছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, ক্যারম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকায়ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই আয়োজনটি গ্রামের উৎসব ঢাকা শহরে ফিরে নিয়ে এসেছে৷ এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আছে শুধু হৃদ্যতা। প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে এ ধরনের উৎসব আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম উৎসবে আগত বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে খোলা ট্রাকে এডিস মশার উৎসস্থলের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

শহরে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন এক ভবনে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও হয় না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে, সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে রাজধানীর গুলশানে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো পাড়া উৎসব। ঢাকা উত্তর সিটির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করেছে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল।

গুলশান এলাকার ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। ‘পাড়া উৎসব’ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি এই উৎসবকে ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের সব এলাকায় আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা চাই একটা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা ঠিকই জাতীয় সংগীত গাই “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”। অথচ ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দিই, লালবাতি জ্বলার পরেও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দিই।’ নগরবাসীকে তিনি শহরকে ভালোবাসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকায়ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই আয়োজনটি গ্রামের উৎসব ঢাকা শহরে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আছে শুধু হৃদ্যতা৷ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে এ ধরনের উৎসব আয়োজন ভূমিকা রাখবে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও এ উৎসবে অংশ নেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র অন্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একপর্যায়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন এবং গান গেয়ে নগরবাসীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

শুক্রবার সকাল থেকে এ উৎসব শুরু হয়। উৎসবে দেশীয় পিঠার দোকান, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, জাদু প্রদর্শন, স্বাস্থ্যসেবা ও পাটের তৈরি পণ্যের দোকান ছিল। এ ছাড়া উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রংতুলি, ক্যারম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। রাত আটটায় এ উৎসব শেষ হয়।

‘পাড়া উৎসব’ ছড়িয়ে দিতে পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকায় এ উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শহরে প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ থাকে না। সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এ পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নাম্বার সড়কে ‘পাড়া উৎসব’ উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল। কিন্ত সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে এসে এ উৎসবে যোগ দিয়েছি। একে-অন্যকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনি কই থাকেন…। এ মিলনমেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা চাই, একটা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই, সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা ঠিকই জাতীয় সংগীত গাই, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…। অথচ ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেই, লালবাতি জ্বলার পরেও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেই। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এ পাড়া উৎসব।’

উৎসবে যোগ দেওয়া নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আসুন সবাই শহরকে ভালোবাসি। শহরের পরিবেশ রক্ষায় হর্ন বাজানো বন্ধ করি। গুলশান থেকেই হর্ন বাজানোর চর্চা শুরু হোক।’ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এ পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল।

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, ম‌্যাজিক শো, স্বাস্থ‌্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্যের স্টল। এছাড়া ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং-তুলি, ক্যারাম, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ডিএনসিসি মেয়র এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন এবং গান গেয়ে নগরবাসীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

নিয়মিত বাৎসরিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে গুলশান এলাকায় আয়োজিত হয়ে গেল “পাড়া উৎসব”। এ উপলক্ষে রাখা হয়েছিল আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে অত্যন্ত সম্পৃক্ত বিভিন্ন আয়োজন। এলাকায় বসবাসরত নাগরিকগণ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন আর সেই সঙ্গে প্রতিবেশি ও এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে এদিন তৈরি হয়েছে তাদের অমূল্য স্মৃতি।

“হিরোস ফর অল” নামের অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আর সেই সঙ্গে গুলশান সোসাইটি ও ডিনসিসি যৌথভাবে গুলশানের আবাসিক এলাকায় নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করতে এই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে৷ “হিরোস ফর অল” এর প্রতিষ্ঠাতা রেহনুমা করিম পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনে নেতৃত্ব দেন। হিরোস ফর অল ইনক এর স্বেচ্ছাসেবকরা যেমন এদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তেমনি পর্দার অন্তরালে থেকে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন গুলশান সোসাইটি, সাজ্জাদ সোহেল, তানভীর আহমেদ এবং ডিএনসিসি টিমের শায়ান সেরাজ জামান। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এদিনের অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে৷ দেশের বরেণ্য অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এবং সালমা আদিল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সালমা আদিল এদিনের পুরো আয়োজনে সক্রিয় ভাবে উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করেছেন সরফরাজ আনোয়ার উপল আর “মনের মানুষ” এর পক্ষ হতে অনুষ্ঠানে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গান আছেন আমার মোক্তার গানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তা পরিবেশন করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ” আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত নগরী চাই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই নগর গড়ে তুলতে যেখানে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। এই পাড়া উৎসব প্রতিবেশিদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, সামাজিক সম্পর্কগুলোকে করবে আরও দৃঢ়। আমাদের শিশুরা খেলার সুযোগ পাচ্ছেনা। তাদের কোন বন্ধু নেই। আর সেজন্যই এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে সমাজে অন্যায় ও অস্থিরতা হ্রাস পাবে৷ আমরা ঠিক এরকম একটি ঢাকা গড়ে তুলতে চাই সবার জন্য।

সালমা আদিল ফাউন্ডেশন এবং সেফ হ্যান্ডস এর প্রতিষ্ঠাতা, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা লায়ন সালমা আদিল এমজেএফ এই পাড়া উৎসবে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এলাকার সকলে মিলে একসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এই আয়োজনটি উপভোগ করছে, দেখে খুব ভালো লাগছে। এর মাধ্যমে এই এলাকার সকলের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।”

এই অনুষ্ঠানে ছিল খাবারের আয়োজন, খেলা, জাদু প্রদর্শন, ছবি আঁকা, গান-বাজনা, কৌতুক অভিনয়, লাঠি খেলা, শারীরিক কসরত, পথ নাটক ইত্যাদি। এলাকার সকলের জন্য ছিল ট্যালেন্ট শো।অত্যন্ত সফল ও অনন্য অনুষ্ঠানটি কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে আয়োজিত হয়। পরস্পর বিচ্ছিন্ন আমাদের এই সমাজে সকলের মাঝে সংযোগ ঘটানোই ছিল এর উদ্দেশ্য। অল্প সময়ে অমূল্য কিছু স্মৃতি তৈরি করাই ছিল এর পেছনের মূল ভাবনা। এরকম উৎসব প্রতিবেশিদের মধ্যে মায়া, মমতা ও সহযোগিতা জাগিয়ে তুলবে আর নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ে করবে গর্বিত।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসব উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকাতেই পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে। আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল কিন্তু আজ সবাই বাসা হতে বেরিয়ে এসে এ উৎসবে যোগ দিয়েছে। তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে তুমি কই থাকো। এই মিলনমেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা চাই একটা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা ঠিকই জাতীয় সংগীত গাই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। অথচ ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেই, লালবাতি জ্বলার পরেও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেই। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এ পাড়া উৎসব।

নগরবাসীকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেয়র বলেন, আসুন সবাই শহরকে ভালোবাসি। শহরের পরিবেশ রক্ষায় হর্ন বাজানো বন্ধ করি। গুলশান থেকেই হর্ন বাজানোর চর্চা শুরু হোক। ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয় বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। শুক্রবার শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরো ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। রাত ৮টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

পাড়া উৎসবে এসে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকায়ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এই আয়োজনটি গ্রামের উৎসব ঢাকা শহরে ফিরে নিয়ে এসেছে৷ এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই আছে শুধু হৃদ্যতা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে এধরনের উৎসব আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ১৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের একটি সড়কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘পাড়া উৎসব’ ২০২২। মেলার বিভিন্ন স্টলে রয়েছে পিঠা-পুলি, মিষ্টি, বায়োস্কোপসহ আবহমান বাংলার নানান ঐতিহ্যের নিদর্শন। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টা থেকে অলাভজনক সংগঠন ‘হিরোস ফর অল’ এর আয়োজনে এই উৎসব শুরু হয়। উৎসবের উদ্বোধন করে বক্তারা বলেন, সুস্থ জীবন ও সমাজের জন্য ঐতিহ্যের কাছেই মানুষকে শিক্ষা নিতে হয়। সেজন্য এ ধরণের আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আয়োজকরা জানান, নগর ব্যস্ততায় মানুষের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য। সেই সাথে প্রযুক্তির ব্যবহারে আটকে থাকছে নতুন প্রজন্ম। তাদের জন্যই এই আয়োজন। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

চাকরি, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করেন রাজধানীর বাসিন্দারা। একই ভবনে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বাস করেও একে অপরকে চেনেন না। বিশেষ কারণ ছাড়া একে অপরের সাথে দেখা হয় না মাসের পর মাস। ফলে তাদের মধ্যে সামাজিক বন্ধনও গড়ে ওঠে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গতকাল শুক্রবার অভিজাত এলাকা গুলশানে ডিএনসিসির সহযোগিতায় পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। গুলশান-২ এলাকার ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর রাস্তায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এ ছাড়া আরো ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রঙতুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। উৎসবে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অংশ নেন কূটনীতিক পাড়ার বাসিন্দারাও। তাদের সাথে যোগ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তারা বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন। গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সারওয়াত শুক্লা সিরাজ বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে যে সুন্দর সামাজিক যোগাযোগ ও বন্ধন রয়েছে, সেটা তৈরি করাই হচ্ছে এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সাথে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এ পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সাপ্তাহিক ছুটি। আজ গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল কিন্তু আজ সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে এসে এ উৎসবে যোগ দিয়েছে। তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে, ‘তুমি কই থাকো?’ এ মিলনমেলার মাধ্যমেই একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই একটা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা গান গাই ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। কিন্তু তারপরই ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দিই, লালবাতি জ্বলার পরও আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দিই। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এ পাড়া উৎসব। মেয়র বলেন, পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকাতেই পাড়া উৎসব আয়োজন করা হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকাতেও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ আয়োজনটি গ্রামের উৎসব ঢাকা শহরে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আছে হৃদ্যতা। প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে এ ধরনের উৎসব আয়োজন ভূমিকা রাখবে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।

শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনে না। একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক বাড়াতে গুলশানে পাড়া উৎসবের আয়োজন করেছে গুলশান সোসাইটি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানের ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর সড়কে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। উৎসবের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

Eight-year-old Anindita Kamal was busy with craftwork on a mat along with 10 other children. Anindita, who enjoyed craft work very much, seemed elated to be at the Paara Utshab. “We came here at noon and my daughter seems to be having a great time. Children normally don't get to go to that many events in Dhaka, which is why they are enjoying the event,” said Rakibul Kamal Gaurab, Anindita's father. He said puppet shows, folk songs and other events attracted attendants of Paara Uthshob.

Dr. Rehnuma Karim from Heroes for All and Shayaan Seraj from Gulshan Society lead the event. Heroes for All and Gulshan Society co-organised the event with the support of DNCC and Prime Bank. LGRD minister Md Tazul Islam and DNCC Mayor Md Atiqul Islam jointly inaugurated the programme. The fair was divided into different zones that concerned health and well-being, knowledge and awareness, arts and crafts, activities and plays. Besides, the third session of The Daily Star's in-house event “Slam Poetry Nights”, organised by SHOUT and The Daily Star Books, was also held at the premises — where people from all walks of life participated and performed.

The event also hosted talent shows, mini workshops on arts and crafts, street drama, CPR and First Aid sessions, fun street games and an exhibition on 50 years of Bangladesh's history, music and more. DNCC mayor Md Atique said they will arrange Paara Utshab in every area in Dhaka gradually.

The second edition of Paara Utshab took place in the capital’s Gulshan area on Friday (yesterday). Co-hosted by Heroes for All (HFA) and Gulshan Society with support from Dhaka North City Corporation (DNCC), the event arranged activities for all age groups, according to a press release. LGRD Minister Muhammad Tajul Islam and DNCC Mayor Atiqul Islam inaugurated the event at 11:00 am. Dr Rehnuma Karim of HFA and Shayaan Seraj of Gulshan Society led the event, which Prime Bank sponsored. 

This year’s Paara Utshab was divided into different zones that hosted a variety of stalls and experiences, including Health & Well-being, Knowledge & Awareness, Arts & Crafts, Activity and play. The event also featured a talent show, Slam poetry, mini workshops on arts and crafts, street drama, CPR, and a First Aid Session. One of the event’s highlights was ’50 years of Bangladesh History’ – a special exhibition by the Bengal Foundation. Turkis Ambassador Mustafa Osman Turan, Norwegian Ambassador Espen Rikter-Svendsen, Member of Parliament Naheed Ezaher Khan, Secretary General of Gulshan Society Barrister Shukla Sarwat Siraj, Prime Bank AMD ANM Mahfu were also present at the event.